নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রুনাইয়ে মানবপাচারে জড়িত থাকার অপরাধে তিনজনকে আটক করেছে র্যাব। বুধবার রাজধানীর কাফরুল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ব্রুনাইয়ে মানবপাচারের মূল হোতা মেহেদী হাসান বিজনের অন্যতম সহযোগী শেখ আমিনুর রহমান হিমু (৫৫) রয়েছে। বাকী দুজন হলেন- নুর আলম (৩৬) ও বাবলুর রহমান (৩০)। তাদের আটকের সময় একটি লাইসেন্সকৃত পিস্তল ও দুটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু জানান, ব্রুনাইয়ে মানবপাচারের হোতা বিজনের অন্যতম সহযোগী হিমু দীর্ঘদিন থেকে বিদেশে অবস্থান করছিল। সে মেহেদী হাসান বিজনের সঙ্গে ব্যবসাও করতো। এই হিমু মুলত বিজনের চাহিদা মোতাবেক বাংলাদেশ থেকে লোক সংগ্রহ করে ব্রুনাইয়ে পাঠাতো। সে ব্রুনাইয়ে ৪০০ লোককে চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে পাঠিয়ে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ২০১৯ সালে সে বিজনের কোম্পানির নামে ভূয়া ডিমান্ড সংগ্রহ করে ৬০জনকে ব্রুনাইয়ে পাঠায়। যাদের সেখানে পাঠানো হয়েছিল তারা কাজ না পেয়ে বেকার জীবনযাপন করে দেশে ফেরত আসতে বাধ্য হয়। হিমু যে এজেন্সির কথা বলতো মুলত তার কোন লাইসেন্স ছিল না। সে নজরুল ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস ও হাইওয়ে ইন্টারন্যাশনালের আরএল ব্যবহার করে ব্রুনাইয়ে মানুষ পাচার করতো।
প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর ব্রুনাই প্রেসক্লাবের সামনে সেখানে আটকাপড়া ব্যক্তিরা মেহেদী হাসান বিজনকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করে। এই বিজনের নামে বাংলাদেশে ২০টি মামলা রয়েছে। সে বর্তমানে আত্মগোপন করে রয়েছে বলেও জানান তিনি।